বাংলার এই সকল মহিলারা খুব শীঘ্রই পেতে চলেছেন স্মার্টফোন? কিন্তু কেন? কোন প্রকল্পের আওতায় তাদেরকে এই স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে? আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এই বিশদে আলোচনা করবো। তাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিন্তু এটির ব্যাপারে প্রথমেই বিশদে জেনে নিতে হবে। চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক আমাদের এই প্রতিবেদন।
বিগত বছরগুলোতে একের পর এক বড় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে শুরু করে সবুজ সাথী এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভান্ডার তো রয়েছেই। এছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু প্রকল্প যেগুলো রাজ্য সরকারের আওতাতেই চলছে।। এবার এই সব কিছুর উপরে রাজ্যের মহিলা মহলের একাংশকে স্মার্টফোন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা। জানা যাচ্ছে ৮ হাজার টাকার মধ্যে দেওয়া হবে এই স্মার্টফোন।
Read More: Kolkata : কলকাতার ১৪ টি দর্শনীয় স্থান, যেখানে না গেলে বাকি থেকে যায় এই শহরকে চেনা!
কারা পেতে চলেছেন এই স্মার্ট ফোন?
- অঙ্গনওয়ারি (ICDS) ও আশা (ASHA Worker) কর্মীদেরই এই স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
- সম্প্রতি এক জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান,আশা এবং আইসিডিএস কর্মীদের ৮,০০০ টাকা মূল্যেের স্মার্টফোন প্রদান করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে। তারা যেহেতু সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব সামলান এবং সেই অনুযায়ী তাদের বেতন যথেষ্টই কম, তাই তাদের যোগাযোগ মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক নতুন সামাজিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। যেগুলি রাজ্যের মানুষের মধ্যে ভালই সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি করোনা পর্বের সময় রাজ্যের পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়াশোনা এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে একটি করে ১০,০০০ টাকা দামের স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ।
সেই মতো প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এই স্মার্টফোনের অর্থ দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি স্মার্টফোনের বদলে প্রত্যেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজ্য। এবার অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের জন্যেও একই রকমের পরিষেবা দেওয়া হল।তবে কোনও ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন দেওয়া হবে নাকি আশা কর্মী ও অঙ্গনারী কর্মীদেরও পড়ুয়াদের মতোই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই বিষয়টি বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।