উৎসবের মরসুম উপলক্ষে বহু সংস্থার তরফেই কিন্তু নানান রকমের নতুন টু হুইলার বা ফোর হুইলার লঞ্চ করা হচ্ছে। এই সময়ে আগ্রহী ক্রেতার সংখ্যাও প্রচুর। তাই যদি এই সময় আপনি একটি নতুন মোটরসাইকেল নেওয়ার কথা ভাবছেন তাহলে বাজার কাঁপানো এই সাম্প্রতিক মডেলটি একবার ট্রাই করতে পারেন। যদিও এখনো হাতে কিছুটা সময় আছে.. চলুন এই মডেলটির স্পেসিফিকেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য একটু বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি কিছুদিন আগেই ইয়ামাহা জানিয়েছে যে,তাদের আরএক্স ১০০ মডেল বাজারে ফিরবেই। যদিও এখনো পর্যন্ত এর লক্ষ্যে কোন নির্ধারিত দিন ঠিক করা হয়নি। তবে এই মডেলটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৯৮৫ সালে ইয়ামাহা সর্বপ্রথম আরএক্স ১০০ মডেল বাজারে আনে। এটি ছিল টু স্ট্রোকের ইঞ্জিনের মোটরবাইক। তৎকালীন সময়ে এই মোটর বাইকটি কিন্তু ব্যাপক রকম ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল তরুণ সমাজের মধ্যে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও অজানা কারণেই ১৯৯৬ সালে এই বাইক বন্ধ করে দেয় জাপানি ইয়ামাহা। তবে এবারে জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এই মডেলটি একেবারে নতুন অবতারে বাজারে হাজির করতে চলেছে ইয়ামাহা।
নতুন মডেলের স্পেসিফিকেশন:
• আরএক্স ১০০ মডেলের কামব্যাক ভার্সনে থাকছে ১০০ সিসিরি পরিবর্তে ২০০ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন। পাশাপাশি এতে,৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন দেওয়া হবে, যা যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো রাস্তায় দুর্ধর্ষ পাওয়ার এবং টর্ক প্রদান করতে সক্ষম। এছাড়াও ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে এই মডেলে থাকছে ডিস্ক ব্রেক, অ্যালয় হুইল,আগের তুলনায় আরও পরিণত সাসপেনশন,এলইডি লাইট, ডেটাইম রানিং লাইট বা ডিআরএল এবং সেলফ স্টার্ট অপশন।।
• প্রসঙ্গত এই বাইকের আগের ভার্সনে অর্থাৎ ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ মডেলের বাইকের ইঞ্জিন ১১ পিএস পাওয়ার এবং ১০.৩৯ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারত। এই মেকানিজিম পেয়ার করা ছিল সামনে ও পেছনে দুই চাকার ড্রাম ব্রেকের সঙ্গে। এছাড়া ছিল ১০ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক, কিক-স্টার্টেই চলত বাইকটি। তবে এই সব কিছুই নতুন মডেলের বেশ খানিকটা পরিবর্তন ঘটে সামনে আসছে। এখনো পর্যন্ত এই বাইকটির দাম বা অন্যান্য কোন বিষয় সম্পর্কে আর কোন বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।