সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা প্রায় সময় এমন অনেক নতুন ঘটনা জানতে পারি যা হয়তো আমাদেরকে অবাক করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে যা হয়তো বর্তমান সময়ে অনেককেই বেশ আশ্চর্য করবে। একটা সময় গুগলের কর্মী হওয়ার পরেও বর্তমানে ড্রাইভিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। শুনতে অবাক লাগলেও এই কথা একেবারেই সত্যি। যদিও এর আগেও বেশ কয়েকবার আমাদের দেশে এরকম মানুষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।বেঙ্গালুরু এমনই এক অত্যাধুনিক শহর, যেখানে প্রায়ই এমন অ্যাপক্যাব ড্রাইভার বা অটোচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যায়, যাঁদের হয়তো কর্পোরেট পেশাদার হিসেবে বা ইউটিউবার হিসেবে কেরিয়ার রয়েছে। আসলে এই সমস্ত মানুষের টাকা উপার্জন ঠিক লক্ষ্য নয়। এদের মূল লক্ষ্য হলো শহরের গভীরতম অংশে গিয়ে মানুষকে জানা।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে মাইক্রোব্লগিং সাইট ‘এক্স’ (অতীতের ট্যুইটার)-এ রাঘব দুয়া একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন৷ এই ভিডিওর মাধ্যমে নিজের ড্রাইভার এর কথা জানিয়েছেন রাঘব। তার পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমার উবার মোটো ড্রাইভার একজন প্রাক্তন গুগলকর্মী৷ ২০ দিন আগে হায়দরাবাদ থেকে এসেছেন বেঙ্গালুরুতে৷ তিনি শুধু শহরকে আবিষ্কার করবেন বলে এই কাজ করছেন”। অনেকের কাছে ড্রাইভিং একটি নিজের পেশা হলেও যে এত বড় কর্মীরাও এটিকে শহর এক্সপ্লোর করার জন্য বেছে নিতে পারেন জানতে পেরে বহু সংখ্যক নেটিজেন আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। রাঘবের পোস্ট ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানান রকমের মন্তব্য।
ভাইরাল সেই পোস্টে এক নেটিজেন জানিয়েছেন,“এটা সত্যিই অসাধারণ৷ আমার ধারণা, রাইডে তোমাদের মধ্যে আকর্ষণীয় আলোচনা হয়েছে৷” আরও এক জন স্মৃতিচারণা করেছেন, জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতা৷ তিনি ৫৩ বছর বয়সি এক চালকের দেখা পেয়েছিলেন যিনি অতীত জীবনে ছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার৷ বিশাখাপত্তনম থেকে দিল্লিতে এসে অ্যাপক্যাবের চালক হয়েছিলেন শহরকে আবিষ্কার করবেন বলে৷ অর্থাৎ সবমিলিয়ে দেশের এই শহরগুলোতে কিছু মানুষের ছক ভাঙ্গা জীবনযাত্রা যে বহু ধারণার পরিবর্তন করছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ধরনের আরো অনেক অজানা গল্প জানতে চাইলে নজর রাখতে পারেন আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদন গুলোর উপর।