সহজেই হবে আর্থিক উন্নতি! শুধুমাত্র ফলো করুন এই বিশেষ কয়েকটি money management টিপস

1
131
easy tips for money management
money management

ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির জন্য সবসময় যে উচ্চ বেতনের চাকরি বা ব্যবসার প্রয়োজন হবে তা কিন্তু কোন মানে নেই। এগুলোর আগে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল অর্থ ব্যবস্থাপনা। যদি কোনরকম কারণে আপনার আর্থিক অবস্থা ঠিক খারাপ জায়গায় আটকে থাকে সেক্ষেত্রে কিছু জিনিসের উপর আপনাকে বিশেষভাবে নজর দিতে হতে পারে।। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা পাঠক বন্ধুদের সঙ্গে বিশেষ ৭টি টিপস শেয়ার করে নিতে চলেছি যাতে খুব সহজেই আপনারা money management করতে পারবেন।

১) প্রথমেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রতি মাসে কোথায় এবং কিভাবে আপনি অর্থ ব্যয় করছেন। ভালো অর্থ ব্যবস্থাপনা সবসময় ব্যয় সচেতনতা দিয়ে শুরু হয়ে থাকে। ক্যাটাগরি জুড়ে খরচ ট্র্যাক করতে আপনারা যে কোন মানি ম্যানেজমেন্ট এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন খাতে ঠিক কতটা অর্থ প্রতি সপ্তাহে বা মাসে আপনার ব্যয় হচ্ছে সেটার উপর নজর রাখুন। একবার এই অভ্যাস তৈরি করে নিলে আপনার কিন্তু অনেকটাই সাহায্য হবে।।

২) মাসিক খরচের অভ্যাস এবং বাকি সমস্ত হিসেব মিলিয়ে আপনাকে অবশ্যই একটা মাসিক বাজেট তৈরি করে নিতে হবে। একটা বাজেট তৈরি করুন যা আপনার জীবনধারা এবং ব্যয়ের অভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে। এই বাজেটের মাধ্যমে খুব সহজেই কিন্তু আপনারা আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারবেন এবং খরচের পরিমাণ কমাতে পারবেন।money management এর ক্ষেত্রে এটি খুবই একটি কার্যকরী উপায়।

৩) সব সময় একটি জরুরী তহবিল বা সঞ্চয় গড়ে তুলতে হবে আপনাকে।। এতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আঘাত হানলেও যাতে এই তহবিল কাজে লাগতে পারে এবং আপনাকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে পারে। কোন রকমেই যেন আপনাকে উচ্চ সুদের হারে কোনরকম অর্থ ধারনা করতে হয়। কোন কারনে আপনি যদি অর্থ ধার করে ফেলেন এবং পরবর্তীতে সেই ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে যান সে ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যক্তিগত money management ব্যবস্থা অচিরেই ভেঙে পড়বে। আর্থিক নিরাপত্তা জোরদার করতে আপনার সাধারণ সঞ্চয় অবদানও করা উচিত।

৪) প্রতি মাসের সময় মতন বিল পরিশোধ করতে হবে।money management এর ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমানের কাজ এবং চমৎকার সুবিধা করে। একটি শক্তিশালী অন টাইম পেমেন্ট ইতিহাস আপনার ক্রেডিট স্কোরকে বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনার সুদের হার উন্নত করবে সহজেই। পাশাপাশি কোন কারনে আপনার বিল পেমেন্ট থেকে দেরি হওয়ার জন্য যে ফি দিতে হয় সেটা থেকেও আপনি রেহাই পাবেন।

৫) এমন কোন পরিষেবার সদস্যতা নেবেন না যা বিশেষ ব্যবহার হয় না। স্ট্রিমিং পরিষেবা এবং মোবাইল এপ্লিকেশন গুলির মাসিক সাবস্ক্রিপশন অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ ভুলে যায় এবং ব্যাংক একাউন্ট থেকে সেগুলোর চার্জ কেটে নেওয়া হয়।। নিয়মিত ব্যবহার না করলে কখনোই এই জাতীয় পরিষেবা নেবেন না এবং যদি নেওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে অর্থ ধরে রাখার জন্য এই অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন গুলি বাতিল করার কথা বিবেচনা করুন।।

৬) সাধারণ মানুষ হিসেবে বড় কোন ক্রয়ের জন্য নগদ সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। বড় কেনাকাটা করার সময় নির্দিষ্ট ধরনের ঋণ এবং ঋণ সহায়ক হতে পারে। আপনি যখন নগদে কিনবেন তখন আপনি সুদ তৈরি করা এবং ঋণ তৈরি করা খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবেন। যার ফলস্বরূপ সহজেই আপনার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে।

৭) উপার্জনের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ কৌশল শুরু করুন। আপনার নিজস্ব বিনিয়োগ করার ক্ষমতা অনুযায়ী উপার্জিত অর্থ ব্যবহার করে আরো আয় তৈরি করতে চেষ্টা করতে পারেন।। তবে অবশ্যই সঠিক পথে পা বাড়াবেন। একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যে ভালো অর্থ ব্যবস্থাপনা বা money management এর ভিত্তি হলো একটি কঠিন বাজেট। তাই অবশ্যই বাজেট তৈরি করে একটা সম্পূর্ণ গাইডলাইন ফলো করুন।