আমাদের আশেপাশে খাদ্য রসিক মানুষ কম নেই। এমনিতেই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বৈচিত্রের দেশ। যার ফলস্বরূপ এর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতির মানুষের পাশাপাশি কিন্তু খাবারেও নানান রকমের বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু আপনারা কি জানেন দেশে বসে আপনারা যে সমস্ত খাবার জমিয়ে উপভোগ করে খাচ্ছেন! এই খাবার গুলোর মধ্যে অনেক কিছুই বিদেশে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি ভোজন রসিক মানুষদের অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়া দরকার। চলুন সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক।
১) সিঙ্গারা:
আপনি কি সমোসা বা সিঙ্গারা খেতে খুব ভালোবাসেন? তাহলে জেনে রাখুন বিদেশে একটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ খাবার এটি।সোমালিয়া ২০১১ সাল থেকে এই মুখরোচক খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷ বিশেষ ধর্মীয় কারণ থাকার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা।
২) ঘি:
গরম গরম ভাত ও অথবা পরোটা সবকিছু সাথেই কিন্তু ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ঘি খেতে বড্ড বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু রক্তচাপ থেকে শুরু করে হার্টের রোগ এবং আরো অনেক শারীরিক সমস্যার বৃদ্ধি করতে পারে মনে করে আমেরিকায় ঘি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Read More: Kolkata : জেনে নিন শতবর্ষ পুরনো কলকাতার এই মিষ্টির দোকান গুলির নাম, রইল বিস্তারিত
৩) চ্যবনপ্রাশ :
সর্দি কাশি থেকে শুরু করে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অনেকেই কিন্তু প্রতিনিয়ত চ্যবনপ্রাশ খেয়ে থাকে। তবে জানিয়ে রাখি যে কানাডায় এটি সম্পূর্ণরূপে কিন্তু নিষিদ্ধ।রিপোর্ট অনুযায়ী, সীসা এবং পারদের পরিমাণ বেশি থাকায় ২০০৫ সালে এটিকে নিষিদ্ধ করে কানাডা।
৪) কেচাপ:
এখনো চাইনিজ খাওয়ার যেমন চাওমিনে আমরা কিন্তু কেচাপ খেতে অত্যন্ত পছন্দ করি। অনেক জলখাবার রয়েছে আমাদের দেশে এমন যা কেচাপ ছাড়া খাওয়া যায় না। ফ্রান্সে কিন্তু কেচাপ সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। ফরাসি সরকার মনে করে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে এই কেচাপ ব্যবহার করার প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে তাই তারা এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে সম্পূর্ণভাবে।
৫) চুইংগাম:
সিঙ্গাপুর নিজেদের দেশকে প্রচণ্ড পরিচ্ছন্ন রাখে৷ কঠোরভাবে এই নিয়ম রক্ষা করা হয়৷ এই কারণেই ১৯৯২ সালে দেশটিকে পরিষ্কার রাখার কারণে সব ধরণের চুইংগামের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছিল। আজ পর্যন্ত সেই নিয়মের কোন রকমের বদল ঘটেনি ।