কাঁচা কলা নাকি পাকা কলা কোনটা বেশি উপকারী? জেনে নিন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদদের মতামত..

কমবেশি শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই কিন্তু কলা খেতে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। তবে আপনারা কি জানেন এর কি কি উপকারিতা রয়েছে?

0
133
কাঁচা কলা নাকি পাকা কলা কোনটা বেশি উপকারী? জেনে নিন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদদের মতামত..
কাঁচা কলা নাকি পাকা কলা কোনটা বেশি উপকারী? জেনে নিন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদদের মতামত..

কমবেশি শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই কিন্তু কলা খেতে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন। তবে আপনারা কি জানেন এর কি কি উপকারিতা রয়েছে? কাঁচা না পাকা কোন ধরনের কলা আমাদের শরীরের জন্য ভালো? কি কি গুনাগুন রয়েছে এই ফলের? আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে চলেছি বিশদে.. শরীর সুস্থ রাখতে এবং সচল রাখতে হলে আপনারা এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়তেই পারেন। কম পয়সায় পুষ্টিকর খাদ্য বা ফল বলতেই প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে কলার কথা। তাই সকালের জলখাবার বা দুপুরের খাবার পরে কিন্তু অনেকেই ফল হিসেবে কলা কে গ্রহণ করে থাকেন।এই ফলে রয়েছে অত্যন্ত জরুরি কিছু খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের ভাণ্ডার। তবে অন্যান্য অনেক জিনিসের মতন এই ফলের গুনাগুনকে কেন্দ্র করেও রয়েছে বেশ কিছু বিতর্ক।

বহু মানুষ মনে করেন কাঁচা কলা খাওয়াই শরীরের জন্য বেশি ভালো.. আবার অনেকে মনে করেন শরীরের জন্য বেশি ভালো হলো পাকা কলা গ্রহণ করা।। এই দুই ধরনের ব্যক্তিদের বক্তব্যের মধ্যে আমরা অনেক সময় কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি না। চলুন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কাঁচা না পাকা কোন কলা খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশি ভালো? পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “পাকা কলা খেলেই কিন্তু মিলবে একাধিক পুষ্টিগুণ। জানলে অবাক হবেন, এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি কিছু ভিটামিন ও খনিজ। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিচিত পাকা কলা হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। শরীর থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগ ব্যাধি দূরে রাখতে আপনারা পাকা কলা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতেই পারেন”।

Read More: Health Tips : খাবার খাওয়ার এই পাঁচটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব সহজেই!

তবে গুনাগুনের দিক থেকে কাঁচা কলাও কিন্তু একেবারে পিছিয়ে নেই। ঈশানীর কথায়,“কাঁচা কলা বা অপক্ব কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্য়াঙ্গানিজের মতো ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার।নিয়মিত এই কলা খেলেই ব্লাড প্রেশার ও সুগারকে বশে আনতে পারবেন। এছাড়া এতে মজুত থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্রনিক ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতে পারে। তাই পেটের অসুখ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতেও কাঁচা কলা মহৌষধি”। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে গুনাগুনের ক্ষেত্রে কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের কলাই কিন্তু দারুন ফলাফল দিয়ে থাকে। কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে এবং পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসেবে।

Read More: Health Tips : সত্যিই কি গ্রিন টি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী? নাকি শুধুই এটি একটি ভুল তথ্য! জেনে নিন পুষ্টিবিদরা কি বলছেন

দুটি ধরন বিশ্লেষণ করে তাই বলা যায় যেহেতু কাঁচা কলার রান্না করে খাওয়া হচ্ছে তাই রান্নার প্রভাবে এর কিছু গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে পাকা কলার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না তাই শারীরিক সুস্থতা রক্ষায় পাকা কলাই এগিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি এও জানিয়ে রাখি যে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কলা একদম আদর্শ। এই সবজি খেলে সুগারকে বশে রাখতে কিছুটা সাহায্যই মিলবে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অবশ্যই পাকা কলা ডায়াবেটিস রোগীরা খাবেন না। অনেকেই রয়েছেন যারা দুপুরের লাঞ্চ খাবার পরে কলা খেয়ে থাকেন। এইসব মানুষদের উদ্দেশ্যে বলবো খাবার খাওয়ার অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পরে কলা বা অন্য যে কোন ফল খাবেন তাহলেই সঠিকভাবে কিন্তু এগুলির গুনাগুন আপনাদের শরীরে প্রবেশ করবে।