বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কমবেশি বহু মানুষ রয়েছেন যারা দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। খাবারদাবারের দিক থেকে ডায়াবেটিস কিন্তু বেশ যন্ত্রণাদায়ক। শর্করার পরিমাণ বাড়লে চিকিৎসকেরা একাধিক বিধিনিষেধ অর্পণ করে দেন খাবারের উপরে। শুধুমাত্র যে শর্করা বা চিনি খাওয়া কমাতে বলা হয় তা কিন্তু নয়, সমস্ত ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার,তেলমশলা যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। ডায়াবেটিকদের সব সময় বাড়ির খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এত কিছু করার পরেও কি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না আপনার ডায়াবেটিস? ঠিক কোথায় রয়েছে সমস্যা? একবার আপনার রান্নার তেল পরীক্ষা করে দেখেছেন কি? অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু রান্না তেলের মাধ্যমেও শর্করা বেড়ে যেতে পারে।
তাই অবশ্যই যদি আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে একবার হলেও রান্নার তেলে বদল এনে দেখুন। হতেও পারে আপনার শরীরে শর্করা বৃদ্ধির সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এমন কিছু তেল সম্পর্কেই পাঠক বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে চলেছি যা দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস(Diabetes) নিয়ন্ত্রণে আসবে সহজেই। চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক।
![Diabetes : আপনিও কি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের ভুক্তভোগী? তাহলে একবার রান্নার তেল বদল করে দেখুন 1 ডায়াবিটিস রোগী, ডায়াবেটিস, Diabetes : আপনিও কি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের ভুক্তভোগী? তাহলে একবার রান্নার তেল বদল করে দেখুন](https://www.bengalibuzz.com/wp-content/uploads/2023/10/ডায়াবিটিস-রোগী.jpg)
১) অলিভ অয়েল:
আপনারা কম বেশি সকলেই অলিভ অয়েল এর নাম শুনেছেন। এই তেলের মধ্যে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি এই তেলে রয়েছে কিছু উপকারি ফ্যাট যা খুব সহজেই আমাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ এর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। সুতরাং এই তেলে যদি আপনি রান্না করেন তাহলে আপনার অনেকটাই উপকার হবে। শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের (Diabetes) সমস্যায় নয়, যাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও কিন্তু অলিভ অয়েল অত্যন্ত কার্যকর।
২) অ্যাভোকাডো অয়েল:
যদি আপনি একজন ডায়াবেটিসের(Diabetes) রোগী হন সে ক্ষেত্রে এই তেল কিন্তু আপনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। অ্যাভোকাডো অয়েলের মধ্যে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে। যেমন—মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল রোগীদের জন্যেও অ্যাভোকাডো অয়েল স্বাস্থ্যকর। উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও অ্যাভোকাডো অয়েল খাওয়া যেতে পারে।
Read More: সর্দি এবং কাশি থেকে রেহাই পেতে আজই ট্রাই করুন এই কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার, রইল বিস্তারিত
৩) বাদাম তেল:
সুস্থ এবং স্বাভাবিক শরীরের জন্য বাদাম তেল কিন্তু খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস(Diabetes) থাকলে আপনারা এই তেলটিকেও রান্নার কাজে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাদাম তেলের মধ্যে রয়েছে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা ডায়াবেটিসের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
রান্নার তেলে বদলানোর পাশাপাশি আপনারা খাদ্যাভাসেও সামান্য কিছু পরিবর্তন করতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলে। চলুন সেটিও একটু সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নেওয়া যাক।
১) হোল গ্রেন: এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। ফাইবারেরও দুর্দান্ত উত্স। জটিল কার্বোহাইড্রেট হজমে সময় লাগে। এতে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। রক্তে হঠাত্ সুগার স্পাইক হয় না। এর কিছু উদাহরণ হল আটা, বার্লি, ওটস, খোসাসহ ছাতু।
২) সবুজ শাক সবজি: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তাছাড়া এতে হাই ফাইবার রয়েছে। যে কোনও সবুজ মরশুমি ফল বেশি করে খান।
৩) বাদাম: বাদাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সেরা উৎস। আমন্ড, আখরোটের মতো বাদামে ওমেগা-থ্রি এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। স্ন্যাক্স হিসাবে তাই অল্প অল্প বাদাম খেতে পারেন।
৪) মাছ, মুরগি, ডিম : মাছ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অপরিহার্য তেলের সমৃদ্ধ উৎস। মুরগি, ডিম এবং মাছ প্রোটিনের দুর্দান্ত উৎস। অতিরিক্ত ক্যালোরি এড়াতে বেকিং বা গ্রিল করার চেষ্টা করুন। ভাজা এড়িয়ে চলুন। প্রোটিন আপনার ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে। পেশি গঠনে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভর্তি পেটের অনুভূতি দেয়।
৫) দই এবং পনির : এগুলি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র একটি ভাল উৎস৷
Read More: Health Insurance : জেনে নিন ভারতের সেরা কিছু স্বাস্থ্য বীমা, নিঃসন্দেহে পরিবর্তিত হবে আপনার জীবন