![মদের দাম নভেম্বর মাস থেকেই বাড়ছে মদের দাম; উৎসবের মরশুমে রীতিমতো বড়সড়ো ধাক্কা পেতে চলেছেন সুরাপ্রেমীরা! জেনে নিন বিশদে](https://www.bengalibuzz.com/wp-content/uploads/2023/10/মদের-দাম-696x365.jpg)
বিগত অক্টোবর মাস থেকেই গোটা দেশজুড়ে উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপূজো, নবরাত্রি, কালীপুজো কিংবা দীপাবলীর জন্য শুরু করে একাধিক উৎসব এই সময় হয়ে থাকে। তবে এই উৎসবের মরসুমের মধ্যেই দেশের সুরা প্রেমীদের বড়সড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ছে মদের দাম। তবে গোটা দেশে নয় ,শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই এই দাম বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১ লা নভেম্বর থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হয়ে যাবে বলে খবর। কিন্তু হঠাৎ এই দাম বাড়ার কারণ কি? আর ঠিক কতটাই বা বাড়ছে দাম?
আসলে হঠাৎ করেই এই মদের দাম বৃদ্ধির কারণ হলো আগামী ১ লা নভেম্বর থেকে ক্লাব, লাউঞ্জ ও বারে মদ্যপানের উপর 5 শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরফলে মোট ভ্যাটের পরিমাণ বেড়ে হল 10 শতাংশ। সুতরাং এবার থেকে বারে বসে মদ্যপান করতে গেলে কিন্তু আরো বেশি করে টাকা পকেট থেকে খরচ করতেই হবে সুরা প্রেমীদের। তবে সুখবর এই যে নন-কাউন্টার সেলের ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত চার্জ থাকছে না। সুতরাং সাধারণভাবে যদি আপনি বারের বাইরে মদ খান তাহলে কিন্তু কোন অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে না।
তবে মহারাষ্ট্রে দাম বাড়লেও গোয়া, চণ্ডীগড় ও হরিয়ানার মতো শহরে মদের দাম কমানো হয়েছে।TOI এর রিপোর্টে দাবি অনুযায়ী, ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকরা কম ব্যয়বহুল অফ-প্রিমাইজ অপশনগুলো বেছে নিতে পারেন। জানিয়ে রাখি ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে কিন্তু মদের আলাদা আলাদা দাম বর্তমানে রয়েছে। সাধারণত এই পুরো দামটাই নির্ভর করে সেই রাজ্যের সরকারের উপরে। তারা যেভাবে কর চাপিয়ে থাকে সেভাবেই এই দাম ওঠানামা করে। যেমন ধরুন একটি বিশেষ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে গোয়ার তুলনায় কর্নাটকে মদের দাম অনেকটাই বেশি।গোয়ায় কোনও মদের দাম 100- 120 টাকা হলে তার দাম কর্ণাটকে হবে প্রায় 500 টাকার কাছাকাছি। তবে শুধুমাত্র দেশীয় মদের উপরেই কিন্তু এই দাম বর্তমান হবে।
আরও পড়ুন- Urfi Cigarette dress: রাস্তা থেকে পোড়া সিগারেট কুড়িয়ে ড্রেস বানালেন উরফি, মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিও
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মদের ক্ষেত্রে কিন্তু দাম সব ক্ষেত্রেই এক। তবে এর উপরে করের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি প্রায় ১৫০ শতাংশ। বহু সময় ধরে দাম কমানোর আবেদন করা হলেও এটি বিদেশি মদের ক্ষেত্রে এখনো কার্যকর হয়নি। পুজোর মরসুমে মদের দাম বেড়ে যাওয়ায় বার এবং রেস্টুরেন্ট গুলিরও দারুন লোকসান হতে চলেছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত চলতি দুর্গা পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গেও মদের দাম অনেকটাই বেড়েছিল।গত বছর পুজোর উৎসবে রেকর্ড বিক্রি হয়েছিল মদের। ৬০০ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছিল পুজোর মরশুমে রাজ্যের আবগারি দফতর মদ বিক্রি করে। যদিও এবারের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রাজ্যে দেশি মদ বিক্রি তুলনামূলক উৎপাদন কমানো হয়েছে বলেই দাবি করছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা।