মন আর মনোযোগ দুটোকেই বেঁধে রাখতে চান? নিঃসন্দেহে ট্রাই করতে থাকুন এই বিশেষ কয়েকটি উপায়

মানুষের মন হলো এক দুরূহ জায়গা..এই মানব মনের অধিকার পেতে চাইলে অবশ্যই মিস করবেন না আজকের প্রতিবেদন

0
188
মন আর মনোযোগ দুটোকেই বেঁধে রাখতে চান? নিঃসন্দেহে ট্রাই করতে থাকুন এই বিশেষ কয়েকটি উপায়
মন আর মনোযোগ দুটোকেই বেঁধে রাখতে চান? নিঃসন্দেহে ট্রাই করতে থাকুন এই বিশেষ কয়েকটি উপায়

মানুষের মনের থেকে জটিল জায়গা হয়তো আর নেই। আমাদের এই মনের মধ্যে কখন কি চলে তা কখনোই সামনে থাকা কোন ব্যক্তি কিন্তু সহজে বুঝতে পারে না, যদি না আমরা বুঝতে দিয়ে থাকি। মন আর মনোযোগের মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। লক্ষ্য করে দেখুন এই মন নিয়েই মানুষ যেমন চাঁদে পৌঁছে গেছে, ঠিক তেমনভাবেই গিয়েছে সমুদ্রের গভীরে. আবার এই মন নিয়ে ই বিজ্ঞানীরা নানান রকমের দুরূহ আবিষ্কার করেছেন।

আর এই প্রত্যেকটা ব্যাপারে সঙ্গেই কিন্তু মনোযোগ সম্পর্কিত। মনোযোগ যদি মনের সঙ্গ না দিত তাহলে কিন্তু কখনোই মানুষ নিজেকে এতটা উন্নত করে তুলতে পারতো না। তবে যদি কোন কারনে আপনার মনোযোগ দুর্বল হয়ে যায় তাহলে কি করবেন.. ছোট থেকে বড় সবার মধ্যে কিন্তু এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে.. তবে আজকের এই প্রতিবেদনটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারেই পড়েন তবে কিন্তু সমস্যার সমাধান নিমেষেই পেয়ে যাবেন।

মনকে বেঁধে রাখতে তথা মনোযোগ দৃঢ় করতে বিশেষ কয়েকটি উপায়:

মন আর মনোযোগ দুটোকেই বেঁধে রাখতে চান? নিঃসন্দেহে ট্রাই করতে থাকুন এই বিশেষ কয়েকটি উপায়
মন বেঁধে রাখার ১০ উপায়

নিয়মিত মেডিটেশন করুন:

শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় মেডিটেশন কিন্তু দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ছোট বাচ্চাদের যদি পড়াশুনায় মনোযোগ বাড়াতে চান তাহলে কিন্তু নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান আপনারা করাতে পারেন।। মেডিটেশন করার সময় যেহেতু একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মনকে আটকে রাখতে হয় তাই এটি মনোযোগ দৃঢ় করতে ব্যাপক রকমের সাহায্য করে থাকে।

একসঙ্গে একাধিক কাজে যোগ দেবেন না:

আমরা অনেক সময় কিন্তু একসঙ্গে একাধিক কাজে যোগদান করে থাকি যেমন-খেতে খেতে টিভি দেখা, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা.. এই জাতীয় কাজ কিন্তু একেবারেই করবেন না। এতে অন্যমনস্কতা বাড়ে এবং মস্তিষ্কের উপরেও চাপ সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন- Blood Pressure : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে অবশ্যই মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকা, শরীর থাকবে সম্পূর্ণ সুস্থ

শারীরিক পরিশ্রম করুন অবশ্যই:

চুপচাপ শুয়ে বসে থাকলে চলবে না। ওয়ার্ক আউট না করলেও চেষ্টা করুন সাইক্লিং থেকে শুরু করে জগিং অথবা হাঁটাচলা নিয়মিত করার। শারীরিক কসরত কিন্তু আমাদের মন কেউ ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরকেও যথেষ্ট সুস্থ রাখে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করুন:

একেবারে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাচলা করতে বেরুন এবং সকালের পরিষ্কার বায়ু সেবন করুন। এতে আপনাদের মন যেমন ভালো থাকবে ঠিক তেমন ভাবেই কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- Beauty Tips : জেনে নিন ত্বকের ফাটা দাগ দূর করার দুর্দান্ত কিছু উপায়, রইল বিস্তারিত ঘরোয়া টোটকা

কাজ থেকে বিরতি নিন:

কোন কাজ একটানা করতে থাকলে কিন্তু আমাদের সেই কাজের প্রতি একটা বিরূপ মনোভাব চলে আসে। এই বিষয়টি থেকে সামলিয়ে থাকুন এবং যেকোনো টানা কাজ করার সময় মাঝেসাঝে একটু বিরতি নেবেন। যদি মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কাজ করছেন সে ক্ষেত্রে একটু পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিতে পারেন।

পরিমিত ঘুমান:

কম ঘুম আমাদের মনোযোগে বিরাট অন্তরায়। আবার বেশি ঘুমও বড় ক্ষতি করে ফেলে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম এবং ঘুমের জন্য শারীরিক শ্রম জরুরি। সঠিকভাবে যদি আপনারা ঘুমোন তাহলে যেমন শরীর ভালো থাকবে এবং যে কোন কাজের ক্ষেত্রেও সহজে মনোযোগ বসাতে পারবেন। এবার থেকে অবশ্যই এই উপায়টি ট্রাই করে দেখতে ভুলবেন না।

লিখে রাখুন:

ভুলে যাওয়ার সমস্যা ইদানীং প্রায় সবাইকে ভোগাচ্ছে। তাই কোনো কিছু শোনার সঙ্গে সঙ্গে বা পড়ার পর লিখে ফেললে মনোযোগ অন্য কিছুতে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এতে আপনারা যদি ভুলেও যান সে ক্ষেত্রে কিন্তু পরবর্তীতে তা মনে করার ক্ষেত্রেও কোনো রকমের সমস্যা হবে না।

আরও পড়ুন- আপনার পার্টনার আপনাকে কতটা পছন্দ করে? জেনে নিন তার মনের সমস্ত কথা!

মন দিয়ে শুনুন :

কেউ কথা বলার সময় মন দিয়ে শুনুন। মাঝখানে কিছু বলতে গেলে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। আর অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা স্বাভাবিক শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে। এই ব্যাপারটি ধৈর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার বাইরে :

ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু সময় ঠিক করে নিন। এটা এক দিনে হবে না, অভ্যাস করুন একটু একটু করে। ইন্টারনেটের বাইরেও পৃথিবী যে বৈচিত্র্যময়, এটা আগে বিশ্বাস করতে হবে। খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে কাটালেও কিন্তু অনেক সময় আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং অনেক মানসিক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় কাজ শুরু করবেন না:

খাবার খেয়ে কাজে বসবেন, পেটে ক্ষুধা থাকলে আপনি কখনোই কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না। এছাড়াও, কাজের মধ্যে ব্রেক নিয়ে নাস্তা করে নিতে পারেন। চা-কফি, ফ্রেশ জুস, বাদাম, কুকিজ এগুলো কাজের ফাঁকে খেতে পারেন। এতে এনার্জি পাবেন, মাইন্ড ফোকাস করে কাজ করতেও সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন- শুধুমাত্র ঘোরাঘুরি করেই টাকা ইনকাম করতে চান? চোখ রাখুন এই বিশেষ প্রতিবেদনে!

আপনার ওয়ার্কস্পেস পরিচ্ছন্ন রাখুন ও লিস্ট তৈরি করুন :

আপনি যে ডেস্কে কিংবা যে স্থানে কাজ করতে বসবেন, ঐ জায়গাটি সবসময় কাজ শুরু করার পূর্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকলে সরিয়ে ফেলুন। কাজের সুবিধার্থে একটি টু-ডু লিস্ট তৈরি করে সেটি পাশেই রাখতে পারেন। ডেস্কে ড্রয়ার থাকলে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখুন।