Health Tips : সুস্বাস্থ্য নিয়ে নো টেনশন! জেনে নিন কিছু সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্যের (Superfood) তালিকা

1
179
পুষ্টিকর খাদ্য Superfood
পুষ্টিকর খাদ্য Superfood

ফাস্টফুডের যুগে দাঁড়িয়ে আজকাল অনেকেই কিন্তু শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নানান রকমের সমস্যায় ভোগেন। যার ফলস্বরূপ একটা সময় বা একটা বয়সে এসে কিন্তু মানুষের চিন্তাও খুব বেড়ে যায়। তাই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা কিছু সুপার ফুড এর কথা বলব যা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ লবণ এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে। এই superfood গুলি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে শক্তির মাত্রা উন্নত করতে এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণভাবে সহায়তা করবে। জানিয়ে রাখি superfood প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে তবে তাদের পুষ্টির একমাত্র উৎস হিসেবে নির্ভর করা উচিত নয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য আপনাকে অবশ্যই খাবারে বৈচিত্র রাখতে হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

১. জৈব খাবারের উপকারিতা:

কোন রকমের রাসায়নিক সার বা হরমোন ছাড়াই জন্মানো খাবার জৈব খাবারের তালিকার মধ্যে পড়ছে,যা superfood হিসেবে অন্যতম। এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরনের জৈব খাবার বা শাকসবজি আপনারা কিন্তু বাড়িতেও বাগান করে তৈরি করতে পারেন।

2. ডায়াবেটিস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য:

superfood একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।কুইনো,পালং শাক এবং অন্যান্য শাক,চিয়া বীজ, ব্লুবেরি এবং আরো অনেক কিছুতে ভিটামিন আর খনিজ লবণ রয়েছে যা ডায়াবেটিসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই খাবারগুলোতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকে যার রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। বাদাম ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন আর প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকলে আপনি নিঃসন্দেহে এগুলোকে খাদ্য তালিকাভুক্ত করুন।

৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে:

ক্যান্সার হল এমন একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি যা পুষ্টির সাহায্যে মোকাবিলা করা যায়।superfood এর সাহায্যে চেষ্টা করলে কিন্তু স্তন ক্যান্সার, অন্ত্রের ক্যান্সার বা প্রোস্টেট ক্যান্সার রোধ করা যেতে পারে। এর জন্য আপনাদের ব্রোকলি বা ফুলকপির মত শাকসবজি, টমেটো, গ্রিন টি,বাদাম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর খাবার দৈনন্দিন খাদ্যে রাখতে হবে। ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে রসুন এবং হলুদ দারুন রকম ভাবে কার্যকরী।

৪. মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারে:

মানসিক বিকাশের জন্যও আপনি সুপারফূড থেকে সঠিকভাবে পুষ্টি পেতে পারেন যা আপনার মনকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখবে। অত্যাবশ্যক ভিটামিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডার্ক চকলেট, বাদাম, কুমড়োর বীজ শাক এবং অ্যাভোকাডো প্রভৃতি ভালো মানসিক স্বাস্থ্য তৈরি করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই superfood গুলি অসাধারণ।

৫. ওজন কমাতে:

যদি আপনি দ্রুত ওজন কমাতে চান সেক্ষেত্রে সুপার ফুড আপনাকে সাহায্য করতে। অ্যাভোকাডো, বাদাম, ওটস, কুইনো এবং অপরিশোধিত শষ্যের মত উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এটি শুরু করতে পারেন। এই খাবারগুলোতে উপকারী চর্বি রয়েছে যা ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে এবং স্থায়ী শক্তি সরবরাহ করবে আপনাদের দেহে।। এই ধরনের সুপারফুডে ভিটামিন খনিজ লবণ এবং জলের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকা গত পুষ্টি রয়েছে।

৬. হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা কমাতে:

বর্তমান সময়ে কিভাবে হৃদরোগ সারা পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করছে তা কম বেশি সকলেরই জানা রয়েছে। হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু সুপারফুড দারুন। superfood সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ওটস,স্যামন, বাদাম এবং গ্রিন টি সহ খাবারে পাওয়া যায় যা হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

সুতরাং নিশ্চিন্তে আপনারা কিন্তু এই ধরনের superfood গুলি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকাভুক্ত করতে পারেন এবং নিজেদের জীবনকে সুন্দর আর সহজ করে তুলতে পারেন। তাহলে দেখবেন বিভিন্ন শারীরিক অস্বস্তি থেকে শুরু করে রোগব্যাধির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসবে। ফলস্বরূপ আপনি একটি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারবেন।